Thursday, January 07, 2010

দূর্নিতির সূত্রপাত যে ভাবে

দূর্নিতির সূত্রপাত যে ভাবে





আমরা র্দূনতি করতে দেখি কিন্তু কি ভাবে র্দূনতি ও দূনতিবাজ তৈরি হয় তা কি জানি। অনেকেই জাননে আমি আবার মনে করিয়ে দিই।
প্রথমে বেকার (সাধারন পাবলিক, যাদের রুই কাতলা গোছের কেউ নেই) থেকে শুরু করি।একজন বেকার চাকরি খুজে খুজে হয়রান। সে তার নিজের যোগ্যতা অনুসারে কোন চাকুরি খুজে পাচ্ছনো। যদিও দরখাস্ত করছে তবু হচ্ছে না , বিভিন্ন চাকুরি প্রাথীর মামা খালুর কল্যানে। সে প্রায় হতাশ। এমন সময় একজন শুভাকাঙ্খি এসে বল্ল যে তোমার চাকুরির একটা ব্যবস্থা করে দিতে পারি। সে তো মহা আনন্দে আটখান । কিন্তু টাকা লাগবে। দালালের (শুভাকাঙ্খ) প্রথম প্রশ্ন- কোথায় কোথায় দরখাস্ত করছে?
জবাবে বেকার , তার দরখাস্ত করার স্থান গুলো বল্ল। এও বল্ল অমুক জায়গায় আমার চেয়েও লোয়ার লোক নিল। তখন দালাল বলবে, ইস আগে যোগাযোগ করনি কেন? ঐ জায়গায় আমার ভালো লিংক ছিল, ইস! মিস হয়ে গেল। তবে চিন্তার কিছু নেই। একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। এখন যে কয় জায়গায় দরখাস্ত করছে এর মধ্যে কোনটায় আগ্রহী?
বেকার হয়তো বলবে আমি অমুক চাকুরিতে আগ্রহী। যেমন ধরি ফুডে (মানে খাদ্য মন্ত্রনালয়ে) ।
কোন পদ যেন? দালাল বল্ল।
ইয়ে, মানে হচ্ছে, সহ খাদ্য পরিদর্শক।
টাকা লাগবে মোট পাঁচ লাখ, দিতে পারবা ?
অংকটা বেশি হয়ে গেল না?
কি কউ বেশি, এই টাকাতো মিঞা , চাকুরি পাইলে তোমার দুই মাসের ইনকাম।
কি কন? এত টাকা আসবে কি ভাবে? বেতন স্কেল তো মাত্র ৩৩০০ টাকা। তারমানে মোট বেতন ৫০০০ টাকার কাছে। কি যে কন না। আমার টাকা উঠতে সময় লাগবে সাড়ে আট বছর।
তোমারে কইছে? কইলামতো মাত্র দুইমাস বেশি হলে তিন মাস লাগবে।
কি যে কন না? কিছুইতো বুঝি না।
এখন তোমার বোঝা লাগবে না।

যাই হোক, দালাল হলেও ঠিকই সে চাকুরিটার ব্যবস্থা করে দিল। বেকার এক্ষন চাকুরিজীবি। তার মাথায় এখন সব সময় ঘোরেও টাকার চিন্তা । তার ৫,০০,০০০ টাকার ব্যবস্থার চিন্তা। অবশেষে পেল কি ভাবে আলাদা কায়দায় বেতন ছাড়াও টাকা রোজগার করা যায়। তার টাকা উঠাতে সে শুরু করল দূর্নিতি। এভাবে সে হল দূর্নিতিবাজ। আর একবার যাকে টাকার নেশা পেয়ে বসে তার আর নিস্তার নাই। আরো টাকা চাই। সরকারি জিনিস বিক্রয় ছাড়াও কিভাবে টাকা আয় করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করে। অবশেষে আরো ভালো ধান্দা পায়। একজন লোক নিয়োগ দিতে পারলেতো একবারেই প্রচুর টাকা পাওয়া যায়। নিয়োগের ক্ষেত্রে শুরু হয় দূর্নিতি। তার কাছ থেকে তৈরি হয় দালাল ও নতুন দূর্নিতিবাজ।

এ থেকে নিস্তার পাওয়ার উপায় কি?
এ প্রতিরোধ করা কি সম্ভব?
এ দূর্নিতি তো মন্ত্রি পর্যায় থেকেও হয় , এদের কি ভাবে থামানো যায়?
সচিবালয় থেকে যে দূর্নিতি হয় তা বন্ধ হবে কি ভাবে?
দূর্নিতি দমন কমিশন দিয়ে? (সরিসার ভিতর ভূত থাকলে সরিসা দিয়ে ভূত তাড়ানো যায় না।)
এত প্রশ্নের উত্তর দেবে কে?
????????????????????